কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার মিলনের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী (১২)কে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাটি প্রথম দিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও অভিভাবক ও প্রতিবেশীদের মতবিরোধ ও চাপের কারনে তা প্রকাশ পেয়ে যায়। এ নিয়ে এখন এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও অভিযোগের মাধ্যমে জানা যায়, মিলন ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (১২অক্টোবর) দুপুর ২.৩০ মিনিটের সময় ছাত্রীর মা বাসায় না থাকায় একই এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে মিলন (৫০) ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার উদ্দ্যেশ্যে অভিযোগকারীর বাসার মধ্যে প্রবেশ করে এবং অভিযোগকারীর মেয়েকে ধর্ষণ করার জন্য ধাওয়া করে বলে তারা জানান।
অভিযোগকারীনির মেয়ে ভয় পেয়ে দৌড়ে বাসার বাথরুমের ভিতর পালিয়ে যায় এবং শোর চিৎকার করা কালে মিলন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ছাত্রীর অভিভাবক ও প্রতিবেশীরা চরম ক্ষুব্ধ হয় এবং তারা বিচার দাবি করে। এ ছাত্রীর মা একজন রাস্তায় রাস্তায় পিঠা বিক্রি করে বেড়ান এবং বাবা রিক্সা চালিয়ে দিন যাপন করে বলে জানা যায়।
তবে তারা আরও জানান, মিলন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছে। ইতিমধ্যে মাদকের মামলা মিলনের গলায় ঝুলে আছে বলে প্রতিবেশীরা জানান।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান কুষ্টিয়ায় সময়কে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই মিলনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।