ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে সারা দিন ব্যাপী কুষ্টিয়ার ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় শান্তিডাঙ্গা উলুম দাখিল মাদ্রাসায় সচেতনতার মাধ্যমে সারাদিন ব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ১২ টায় খাতের আলী দাখিল মাদ্রাসা এবং দুপুর ৩ টায় মধুপুর হদিরন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের মাঝে সাপ নিয়ে সচেতনা,সাপে কাটলে কারণীয়, বর্জনীয় ও এর প্রতিকার, বিষধর সাপে কাটার লক্ষণ, সাপ পরিচিতি ও প্রকৃতিতে সাপের গুরুত্বের উপর আলোচনা করা হয় এবং সর্বশেষ প্রশ্ন-উত্তর পর্বের মাধ্যমে কর্মশালাগুলো পরিচালিত হয়।
কর্মশালায় মাঈনুল ইসলামের উপস্থাপনায় সাপে কাটলে করণীয়,বর্জনীয় ও এর প্রতিকার, সাপের পরিচিতি ও প্রকৃতিতে সাপের গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন ছাফওয়ানুর রহমান, সাদিয়া মুবাশ্বিরা ও মেঘদাদুক হক।
এরপর কুইজ পর্ব, বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ, শিক্ষার্থীদের মাঝে লিফলেট বিলি ও বিদ্যালয়ে সচেতনতা মূলক পোস্টার লাগানো হয়। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিটি বিদ্যালয়ের কর্মশালার সমাপ্তি হয়।
সংঠনের সদস্য সাদিয়া মুবাশ্বিরা বলেন ক্যাম্পাসের আশাপাশের অঞ্চলে প্রায়ই সাপে কেটে মানুষের মৃত্যু হয়, যার অন্যতম প্রধান কারণ অসচেতনতা। সাপে কাটলে মানুষ না বুঝে ওঝার কাছে নিয়ে যায় ফলে মৃত্যু ঘটে। তাই আমরা চেষ্টা করি মানুষকে সচেতন করতে যেন তারা ওঝার কাছে না গিয়ে হাসপাতালে যায়।
অপর সদস্য শাহরিয়ার সাগর বলেন, সাপ একটি উপকারী প্রানী। সাপ বিভিন্নভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রকৃতিতে সাপ সহ সকল বন্যপ্রানীর সাথে মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করার মাধ্যমে আগামীর প্রজন্মকে একটি সুন্দর পৃথিবী উপহার দেয়ার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী স্কুল ভিত্তিক সচেতনতা কর্মশালার অংশ হিসেবে সংগঠনের ইবি ইউনিট এর পূর্বেও বিভিন্ন স্কুলে এই ধরনের কর্মশালার আয়োজন করেছে, আগামীতেও কিছু স্কুলে তারা এধরণের কর্মশালার আয়োজন করবে।। ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজার্ভেশন ফাউন্ডেশন ২০১৮ সাল থেকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও তাদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।