কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের স্বস্থিপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মাদ্রাসার সুপারসহ ৪জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানা গেছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ নিজাম উদ্দিন শেখ এবং একই এলাকার মৃত শামসুদ্দিন শেখের ছেলে ইউনুস আলী গংদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার দুপুওের ইউনুসগংরা একত্রিত হয়ে নিজাম শেখের বাড়ির সামনে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে।গালাগালির শব্দশুনে নিজাম উদ্দিনের বোন জহুরা খাতুন বের হয়ে এসে তাদের বকাবকি করতে নিষেধ করলে দেশীয় অস্ত্রী দিয়ে মারপিট শুরু করে।
জরুহার চিৎকার শুনে বাড়ির ভেতর থেকে খাতের আলী দাখিল মাদ্রাসার পিন্সিপাল একই গ্রামের বদর উদ্দিন শেখের ছেলে নিজাম উদ্দিন, নিজাম উদ্দিনের ছোট ভাই হাফেজ রুহুল আমিন, চাচাতো ভাই ইমরান বের হয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তথন তারা ফেলে চলে যায়।
পরবর্তীতে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জরুরা খাতুন ও ইমরান প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেও আঘাত গুরুত্বর হওয়াতে কুষ্টিয়া সদর হাপাতালে চিকাৎসাধীন রয়েছে প্রিন্সিপাল নিজাম উদ্দিন, তাহার ৮ টা সেলাই করা হয়েছে এবং হাফেজ রুহুল আমিনের ডান হাত ও ডান পা ভেঙ্গে গেছে বলে জানা গেছে।
আহত ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে এ হামলায় অংশ নেন স্বস্থিপুরের শামসুদ্দিন শেখের ছেলে ইউনুস আলী, ইউনুস আলীর দুই ছেলে মনিরুল ও রবিউল এছাড়াও একই গ্রামের রশিদ, মেরাজুল, সাথী, রেহানাসহ বেশ কয়েকজন।
হামলার সময় ৮ আনা ওজনের স্বর্ণেও চেনও তারা ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে গেছে। যাহার মূল্য প্রায় ৪৮০০০ টাকা।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, একজন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও একজন কুরানের হাফেজকে এভাবে প্রকাশ্যে মারপিট করাটা জঘন্য অন্যায়। এর সঠিক বিচারও দাবী করেন তারা।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাদৎ হোসেন জানান, এটা পারিবারিক কোলাহ থেকে মারামারি হয়েছে। দুই পক্ষই আহত হয়েছে এবং দুই পক্ষই অভিযোগ জমা দিয়েছেন। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ইতিমধ্যই তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষে দোশীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।