স্বতন্ত্র শিক্ষাবোর্ড গঠন, কর্মসংস্থান সৃজন এবং দ্রুত নিয়োগসহ চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস বর্জন করে ধর্মঘট পালন করছেন কুষ্টিয়ার সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা।
এসময় তারা কুষ্টিয়া মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত বুধবার থেকে শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কর্মসূচি পালন করেছেন।
সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে শিক্ষার্থীরা চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস বর্জন করে কুষ্টিয়া মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিভিন্ন পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আজও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮) অনুযায়ী ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার বিষয়টি বাস্তবায়ন হয়নি। বাংলাদেশে অন্য সব ডিপ্লোমা সেক্টরে সরকারি চাকরির নিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকলেও ম্যাটস ডিপ্লোমাধারীদের বিগত এক যুগ ধরে কোনো সরকারি নিয়োগ বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।এরই পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশের সব সরকারি-বেসরকারি ম্যাটস শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোসহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কঠোর ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ বহালসহ অসঙ্গতিপূর্ণ কোর্স ক্যারিকুলাম সংশোধন, অ্যালাইড হেলথ বোর্ড বাতিল করে অবিলম্বে মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ নামে স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন, কর্মসংস্থান সৃজন ও দ্রুত নিয়োগ ও বঙ্গবন্ধুর পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি ফরহাদ সৌরভ বলেন, আমরা গত বুধবার থেকে চারটি বিষয় নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছি, আজকে চতুর্থ দিন। আজ আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমাদের সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ কথা বলেননি। আমরা দাবি আদায় না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করছে সেগুলো যৌক্তিক। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি দাবি হচ্ছে, নিয়োগ কার্যক্রম। আমাকে শিক্ষার্থীরা গত বৃহস্পতিবার একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজকে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে। সার্বিক বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।