শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, নিহত ৭

কুষ্টিয়ার সময় অনলাইন / ১৩৪ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া শহরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলের দিকে থানাপাড়ায় ও মজমপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক তুষার আহমেদ তুহিন ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম।

নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর এলাকার বাবু (৩৫), একই এলাকার আশরাফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার লোকমানের ছেলে আবদুল্লাহ (১৬), ইউসুফ (৫০), দহকুলা এলাকার ওসামা, বাকি দুজন অজ্ঞাত (আন্দোলনকারীরা তাদের উদ্ধার করেন)।

কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক তুষার আহমেদ তুহিন বলেন, আজ সোমবার বিকেলের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষুব্ধরা থানাপাড়ার মোড় ও মজমপুর মোড়ে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশের গুলিতে থানাপাড়ায় ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা গেছেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজন মারা যান। এ ঘটনায় দুই শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে সোমবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারী ও পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। কুষ্টিয়া শহরের থানার মোড়, মজমপুর, সাদ্দাম বাজার, এনএস রোড়, ছয় রাস্তার মোড়, পাঁচ রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিকেলের দিকে মজমপুর ও থানাপাড়ায় আন্দোলনকারীদের গুলি করে পুলিশ। এতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান ও ২৫০ শয্যা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজন মারা গেছেন। মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর