কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ২১ মে। এ উপলক্ষে আজ বিকেলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক সময়ের রাজপথ কাঁপানো ছাত্র নেতা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম মুরশেদ পিটারের সমর্থনে কুমারখালীর প্রধান সড়ক গুলোতে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে এক বিশাল মিছিল বের হয়। শ্লোগানে শ্লোগানে রাজপথ মুখোরিত হয়ে ওঠে, চারিদিকে একরকম বাঁধ ভাঙ্গা গণজোয়ারের দৃশ্যও দেখা যায়।
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে মোটরসাইকেল (প্রতীকের) চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম মুরশেদ এর উপস্থিতে তার কর্মী সমর্থকরা তার নির্বাচনি এলাকা কুমারখালীর প্রধান ও অন্যান্য সংযোগ সড়কগুলোতে নির্বাচনি প্রচারণার মিছিল বের করেন, পরে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলার মুরাল চত্বরে এসে শেষ হয়।
একটি পৌরসভা ও উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল (প্রতীকের) স্লোগানে বিকেল থেকেই কুমারখালী আসতে শুরু করে সেখান থেকে সকল নেতাকর্মী একত্রি হয়ে বিশাল এক মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বঙ্গবন্ধু মুরাল চত্তরে এসে দলের একাধিক নেতারা তাদের বক্তব্যে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে কুমারখালী উপজেলাবাসীর কাছে মোটরসাইকেল (প্রতীকের) ভোট দোয়া এবং সমর্থন কামনা করেন।
পথসভায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম মুরশেদ পিটার বলেন, আগামী ২১ মে নির্বাচন কুমারখালী উপজেলাবাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারিত হবে। দলমত নির্বিশেষে আমার বাবা আবুল হোসেন তরুন কুমারখালী বাসীকে একটি জাইগাই দাঁড় করিয়েছিলেন। তার জোবনের শেষ দিন পযন্ত তিনি আপনাদের জন্য সেবা করে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবাকে যেমন আপনারা ভালোবেসেছেন সেভাবেই আমাকেও ভালোবাসবেন আমার পাশে থাকবেন। আপনাদের ভালোবাসায় আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এসেছি আপনারা আমার পাশে থেকে আমাকে মোটরসাইকেল (প্রতীকে) ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করবেন।
পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে যারা বক্তব্য দেন, কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন, কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামরুজ্জামান অরুণ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুন-অর রশিদ হারুন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাবেক এবং বর্তমান চেয়ারম্যান প্রমুখ।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা গন্যমাণ্য ব্যাক্তিসহ ছাত্র-যুব সমাজের বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবী শ্রমজীবী হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।