আগামী ২৬ শে ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নওশের আলী বিশ্বাস। কিন্তু তাকে ভোট দিবে না জেনে খালেদা খাতুন (৪৫) নামে এক হতদরিদ্রের ভিজিডি কার্ড কেড়ে নিয়েছেন তিনি।
খালেদা খাতুন নন্দলালপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পুরাতন চরাইকোলের বাসিন্দা। এ বিষয়ে খালেদা খাতুন বলেন,প্রতি মাসের ন্যায় আজ বুধবার আমার ভি,জি,ডির কার্ড নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চাল উত্তলন করতে গেলে আমার স্বামীর সাথে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত বিবাদ থাকায় চেয়ারম্যান আমাকে চাউল না দিয়ে আমার নামের কার্ডটি কেরে নিয়ে আমাকে তারিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী খালেদা খাতুনের স্বামী আমজাদ হোসেন বলেন,চেয়ারম্যানের সাথে আমার ব্যক্তিগত বিবাদ থাকায় ও চেয়ারম্যান একজন দূর্নীতিগ্রহস্ত লোক হওয়ায় এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করতে অস্বীকার করায় আমার স্ত্রীর নামের ভি,জি,ডির চাউলের কার্ডটি চেয়ারম্যান কেরে নেয়,আমি টি,এন,ও স্যারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওশের আলী বলেন,আমজাদ আওয়ামী লীগের সমর্থক হয়েও সে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করার কথা বলে বেরাচ্ছে,সে কারনে আমি আমজাদের স্ত্রীর ভিজিডির কার্ডটি কেরে নিয়েছি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজনীন ফেরদৌস বলেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভি,জি,ডির কার্যক্রমের নীতিমালা অনুযায়ী ভি,জি,ডি চাউলের কার্ডটি ভুক্তভোগীর নিজস্ব সম্পদ,তাতে কারো হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।চেয়ারম্যান যদি এমন কাজ করে থাকে তাহলে তিনি তা ঠিক করেননি।
এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল বলেন,ভি,জি,ডির চাউলের কার্ড কেরে নেওয়ার কোন এখতিয়ার নেয় চেয়ারম্যানের,এ ঘটনা সম্পর্কে আমি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি,অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।