ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ সোহেল আমিন বাবু’র লেখা উপন্যাস ‘প্রেমাটিয়া’’র উপর গবেষণা প্রতিবেদন তৈরীর জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। কালজয়ী সাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়, সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ, মহাশ্বেতা দেবী সহ আরো ৫ জন বিশিষ্ট লেখকের ১১টি গ্রন্থের উপর লেখা হবে গবেষণা প্রতিবেদন।
প্রেমাটিয়া উপন্যাসের গবেষণা প্রতিবেদনের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ সোহেল আমিন বাবু’র ‘প্রেমাটিয়া’ উপন্যাসে গ্রামীণ নিম্নবর্গ।
কাজটি করার জন্য ইবি’র বাংলা বিভাগের অনুমোদিত মেধাবী শিক্ষার্থী শাহিন আলম লেখকের বাড়িতে এসেছিলেন সোহেল আমিন বাবুর সাথে কথা বলতে। জীবদ্দশায় লেখকের এ এক পরম পাওয়া। গবেষক ও লেখক প্রফেসর ড. মোঃ রশিদুজ্জানের তত্ত্বাবধানে শাহিন আলম গবেষণা’ প্রতিবেদনের কাজটি করছেন।
‘প্রেমাটিয়া’ উপন্যাসেরর বিষয় বৈচিত্র্য, পটভূমি, উপন্যাসের চরিত্র, সময়কাল সম্পর্কে অনেক কথা শাহিন আলমের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো। শাহীন আলম বেশ বুদ্ধিদীপ্ত আর কৌতূহলী। আশা করি শ্রদ্ধেয় গবেষকদের তত্বাবধানে গবেষাণার কাজটি ভালোভাবেই করতে পারবে।
১৯৯৭ সালে বইটি বাংলা একাডেমির তরুন লেখক প্রকল্প থেকে প্রকাশিত হয়েছিলো। একজন লেখকের জীবনে ২১ থেকে ৩০ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ের মধ্যে অনেক লেখকই তাঁর সেরা লেখাটি উপহার দিতে পেরেছেন।
কথাশিল্পীর যৌবনে লেখা ‘প্রেমাটিয়া’ একটি সেরা সময়ে, সেরা কাজ বলেই মনে হয়। ‘প্রেমাটিয়া’ লেখার সময় এ উপন্যাসের সাথে জড়িয়ে আছে বহু অম্ল-মধুর স্মৃতি। বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে, সুপরামর্শে ‘প্রেমাটিয়া’ উপন্যাস লেখার কাজটি করতে পেরেছিলেন। লেখকদের প্রেরণার উৎস পরম শ্রদ্ধাভাজন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের প্রতি লেখক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সোহেল আমিন বাবু বলেন, “আপার স্নেহ সান্নিধ্য না পেলে হয়তো আমার পক্ষে ‘প্রেমাটিয়া’ উপন্যাস লেখা কোন ভাবেই সম্ভব হতো না। “
—‘প্রেমাটিয়া’ মূলত তাঁতি অধ্যুষিত একটি গ্রামের নাম। সেই গ্রামের নিম্নবর্গ,অন্ত্যজ তাঁতি জীবনের দুঃখ- কষ্ট , বেদনা, প্রেম, দ্রোহ-বিদ্রোহ, কুসংস্কার ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক ভাষায় লেখা‘ প্রেমাটিয়া’ উপন্যাসের পরতে পরতে। গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে ‘প্রেমাটিয়া’ আবার নতুন করে প্রাণ পেলো।
প্রকাশকের আগ্রহে এ বছর ‘প্রেমাটিয়া’ উপন্যাসের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ পাবে। নতুন নতুন পাঠক সৃষ্টি হবে। বইটিও আগের মতো আদর পাবে, পঠিত হবে, একজন লেখকের কাছে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে!