মেডিকেলে চান্স পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত রাবেয়া আক্তার রুমির লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। শুক্রবার (৯ মার্চ) তিনি কুমারখালী শহরের গোডাউন বাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে রুমির পরিবারকে ডেকে নেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে রুমির পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান এই সংসদ সদস্য।
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি গ্রামের রমজান আলীর বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তার রুমি। তারা দুই বোন ও এক ভাই। ছোট বোন সপ্তম শ্রেণিতে ও ছোট ভাই প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা রমজান আলী শিঙাড়া বিক্রি করে সংসার চালান। তার পক্ষে মেয়েকে মেডিকেলে পড়ানোর সামর্থ্য নেই। ফলে রুমির মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এ নিয়ে গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ‘কুমারখালীর সিঙাড়া বিক্রেতার মেয়ে পেলো মেডিকেলে চান্স’ শিরোনামে ঢাকাপোস্টের বরাত দিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কুষ্টিয়ার সময় ডটকমে। প্রকাশিত ওই সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জের চোখে পড়ে। তিনি রাবেয়া আক্তার রুমির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং রুমির মেডিকেলে লেখাপড়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, রুমি খুব মেধাবী। তার মতো মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অর্থের জন্য বন্ধ হতে পারে না। বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। বর্তমানে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত। পড়ালেখার ক্ষেত্রে দরিদ্রতা কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলায় কখনও হতে পারে না। আমি তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, রুমির পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি। তার লেখাপড়ার ব্যয় বহন করবো। শুধু রুমি না কুমারখালী-খোকসা আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আমি সব সময় সবার পাশে আছি ইনশাআল্লাহ। এই এলাকার সব মানুষের জন্য আমার দুয়ার সব সময় খোলা থাকবে। আমার সামর্থ্য আছে, তাই মানবিকভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আগামীতেও দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
রুমির বাবা রমজান আলী বলেন, আমার মেয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। মেয়েকে ভর্তি করানো এবং লেখাপড়ার খরচ চালানোর সামর্থ্য আমার নেই। নিউজ হওয়ার পর এমপি জর্জ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং দেখা করতে বলেন। আমরা তার বাড়িতে গেলে তিনি রুমির লেখাপড়ার সকল দায়িত্ব নেবেন বলে জানান। যখন যা খরচ লাগবে তাকে জানালে তিনি আমাদের দেবেন। রুমির লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়ায় এমপি জর্জকে ধন্যবাদ জানান তিনি।