বাংলাদেশের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ট্রেন লাইন। তবে সেই ট্রেন লাইন যদি থাকে পশু ও সাইকেলহাটের দখলে তখন প্রশ্ন আসে কতৃপক্ষ কি করছে! কুষ্টিয়া অন্যতম পশুহাট চড়াইকোল পশু হাট। হাটটি কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগরের পূর্ব পাশে অবস্থিত। প্রায় ১ যুগের বেশি সময় ধরে হাটটি এই অঞ্চলের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, কবুতর ভ্যান ও সাইকেল বিক্রয়ের জন্য বেশ জনপ্রিয়। উক্ত পশু হাটটি প্রতি বুধবার বসে দিনব্যাপী।
তবে সাম্প্রতিক হাটটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্রতি বুধবার রেল লাইন দখল করে ছাগল ও ষ্টেশন দখল করে সাইকেল বিক্রির হাট বসানো হয়। এতে করে যেমন দিনে দিনে রেল লাইনের জমি দখলে নিচ্ছে হাট কমিটি তেমনি ঝুঁবিতে পড়ছে জন জীবন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বুধবার রেল ষ্টেশন ও প্লাটফ্রম দখল করে সাইকেল হাট ও রেল লাইন দখল করে ছাগলের বিশাল বড় হাট পরিচালিত হচ্ছে। সারাদিন হাট চলাকারীন সময়ে বেশ কয়েকবার ট্রেন যাতায়াত করে থাকে, আর হাটের সাইকেল থাকাতে বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। বিশেষ করে রেল লাইনের উপরে ছাগলের হাট থাকার কারনে সব সময় প্রায় ২ হাজার ক্রেতা বিক্রেতা ও কয়েক হাজার ছাগল থাকে । আর এভাবে যদি হাট চলতে থাকে তাহলে যে কোন সময় ট্রেনে কাটা পড়ে বড় ধরনের জান মালের ক্ষতি হতে পারে। আর তাই দ্রত রেল ষ্টেশন থেকে সাইকেলের হাট আর রেল লাইনের উপর থেকে ছাগলের হাট সরিয়ে নেবার আহবান জানিয়েছেন স্থানীরা।
এছাড়াও অনেকেই বলছেন, হাট থাকবে হাটের জায়গাতে, কারন হাটের নামে নিদিষ্ট জমি রয়েছে যার ফলেই পশু হাটের অনুমোদন দিয়েছে সরকার । কেনো হাট কমিটি রেল ষ্টেশন ও রেল লাইনের উপরে হাট বসাবে । দ্রুত কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে তারা।
এ বিষয়ে হাটের ইজারাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্ট করা হলে সম্ভব হয়নি।
এদিকে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা । তবে হাট কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রতই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।