কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসানের পারিবারিক জমির গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বানিয়াকান্দি এলাকায় মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে স্থানীয় সন্ত্রাসী মৃত মনছের উদ্দিনের ছেলপ আব্দুর রহিম ও নজরুলসহ কয়েকজন মিলে একই এলাকার মৃত এস এম কামাল উদ্দিনের ছেলে কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসানের পারিবারি জমিতে তার পিতার লাগানো মেহগনির গাছ কেটে নিয়ে যায়। পরে অন্য আরও গাছ কাটার সময় স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার খবর পেয়ে সন্ত্রাসী আব্দুর রহিম ও নজরুলসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে গাছ কাটার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও গাছ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ভ্যান জব্দ করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ওই জমি আমরা পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছি। ওই জমিতে আমার বাবা গাছ লাগিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি জামায়তের সন্ত্রাসী রহিম ও তার ভাই রাতের অন্ধকারে চুরি করে আমাদের গাছ কেটে নিয়ে গেছে। সে ওয়ান ইলেভেনের সময় অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে আটক হয়। এখন আবার নির্বাচন সামনে রেখে ওই সব সন্ত্রাসীরা তাদের আগের রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে আমাদের পারিবারিক জমিতে লাগানো গাছ রাতের অন্ধকারে রহিম ও তার ভাই নজরুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা কেটে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম বলেন, আমি আমার নিজের জমির গাছ কেটেছি। আমি অন্য কারো জমির গাছ কাটিনি। নিজের জমির গাছ রাতের অন্ধকারে কাটার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, দিনে লেবার পাওয়া যাচ্ছিলো না তাই রাতে গাছ কেটেছেন। তবে এতো জরুরী কি প্রয়োজন রাতেই গাছ কাটতে হলো এমন প্রশ্নে এ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন আমি এখন ব্যস্ত রয়েছি এ ব্যাপারে পরে কথা বলবো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি কুমারখালীর এসিল্যান্ড মহোদয় সরেজমিনে গিয়ে দেখবেন। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।