কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের বাঁধবাজার কালিগঙ্গা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম কালু’র (৪০) বিরুদ্ধে মাছ চুরি অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুইজন নৈশ্য প্রহরীকে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে প্রায় এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মাছ চুরির এমন অভিযোগ করেন সমিতির বর্তমান সভাপতি মো. শহিদ মিঞা।
গত বুধবার দিবাগত রাতে ইউনিয়নের উত্তরপার সাঁওতা গ্রামে লিজকৃত সরকারি জলাশয় কালিগঙ্গা নদীতে এঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সমিতির সভাপতি মো. শহিদ মিঞা।
থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম কালু ও তাঁরর সহযোগী রাশিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন লোক এসে নদীতে থাকা নৈশ প্রহরীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং নদীর মাছ ধরে নিয়ে যায়। তাঁরা প্রায় এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে যায় সেরাতে।
এবিষয়ে নৈশ প্রহরী আহেদ আলী সেখ বলেন, ওরা এসে অস্ত্রের মুখে প্রথমে আমাকে বেঁধে ফেলে। পরে আমাদের জাল দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। আমি প্রাণ ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতে পারিনি।
আরেক নৈশ প্রহরী বাদশা জানায়, রাতের আঁধারে কালু ও রাশিদুল লোকজন সাথে নিয়ে আগ্নেয় অস্ত্র দেখিয়ে মাছ ধরা নৌকা ভাংচুর করে এবং মাছ ধরে নিয়ে চলে যায়।
বাঁধবাজার কালিগঙ্গা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি শহিদ মিঞা বলেন, আমাদের সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম কালু সমিতির সদস্যদের সঞ্চিত প্রায় ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। পরে তার নেতৃত্বেই বুধবার রাতে মাছ চুরির ঘটনা ঘটায়। এঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
কালিগঙ্গা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির একাধিক সদস্য বলেন, কালুকে বিশ্বাস করে তার হাতে সমিতির দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু সে আমাদের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এবার আবার চুরি করে আমাদের মাছ গুলোও মেরে নিলো।
এবিষয়ে সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম কালুর মুঠোফোনে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নদীর মালিকইতো আমি, তাহলে আমি কেন চুরি করে মাছ ধরতে যাবো। পূর্বশত্রুতা করে এমন করছেন তাঁরা।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।