কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে স্বামীর পরিবারের অত্যাচারে বিয়ের ৬ মাসের মাথায় গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর কয়ার ত্রিমোহনী গ্রামে স্বামীর বাড়ির বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্নহত্যা করে। গৃহবধুর আত্মহত্যার পর তার স্বামী বিজয় ও শশুড় আরিফুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়েছে বলে জানা গেছে।
মৃত গৃহবধূ নন্দলালপুর ইউনিয়নের মাঠপাড়া গ্রামের ওকিলের মেয়ে তাছলিমা খাতুন (১৯)।
মৃত তাছলিমার বাবা ওকিল জানান, ৬ মাস পূর্বে তার মেয়ের সাথে ত্রিমোহনী গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী বিজয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিজয়ের বাবা, মা ও বোন তার মেয়ের উপর মানুষিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন চালাতো। বৃহস্পতিবার বিকেলে খবর আসে তার মেয়ে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। কিন্তু তার মেয়েকে নির্যাতন করে শশুড়,শাশুড়ী ও ননদ মেরে ফেলেছে বলে তিনি দাবী করেন। এ বিষয়ে তিনি বিচারের দাবীতে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আকিবুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এবং শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটা পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।