কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া ঝাওতলা গ্ৰামে (১০) জুলাই সকাল ৭ টার দিকে শহিদুল ইসলামের পুত্র সোহান (২২) নামে এক জন, বাবা মা ও দাদির ওপর অভিমান করে নিজের ঘরে ব্রেড দিয়ে গলাই পোছ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এতে করে সোহানের শ্বাসনালী কেটে যায় এবং প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়।
সোহান হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় জানান, আমি আমার ফুফাতো বোনকে বিয়ে করি এই বিষয় কে কেন্দ্র করে আমার বাবা মা দাদি বিভিন্ন সময় আমাকে ঘরে বন্দি করে মারধর করে। এক পর্যায়ে আমাকে ঘরে তিন দিন যাবত আটকিয়ে রাখে। এই জন্য আমি আত্মহত্যা জন্য ব্রেড দিয়ে গলা কেটে ফেলি।
এই বিষয়ে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বলেন, আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সোহান । নিজের পছন্দ মতো বিয়ে করার ফলে পরিবারের মধ্যে একটু আধটু সমস্যা হতো। কিন্তু সোহানের মানুষিক সমস্যা আছে, কিছু হলেই নিজের শরীর নিজেই কেটে ফেলে।
হোটেল মালিক সাঈদ হোসেন জানান, সোহান আমার হোটেলে কাজ করতো। সোহান শুক্রবার রাতে ফোন দিয়ে আমাকে বলে, আমাকে ঘরে বন্দি করে রেখেছে বাড়ির সবাই, তিন দিন ধরে। আমি আত্মহত্যা করবো এই বলে রেখে দেয়।
সোহানের শ্বাসনালী কেটে যাওয়ায় তার শরীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, সোহান নামে এক জন গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করে। এই সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা বাবার উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে।