শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন

কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৫৫ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩, ৭:১২ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহে প্রতিপক্ষের হামলায় সাতজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।আহতরা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।গত ২৭ জুলাই উপজেলার শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির পাশে আলো কমপ্লেক্সের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও এজাহার সূত্রে জানা যাই, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে একই এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ঝামেলা চলছিলো। এর জের ধরে আব্দুর রাজ্জাক শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির পাশে বড় বোন মোছা. বুলবুলি খাতুনের বাড়িতে যাওয়ার পথে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি গেটের পাশে আলো কমপ্লেক্সে অদূরে রাস্তার ওপর পৌঁছানো মাত্র উল্লেখিত আসামিরা পরিকল্পিতভাবে হাসুয়া, বেকি, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, লোহার রড, কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পথরোধ করে তাকে অকথ্য ভাষায় বকাবকি করতে থাকে।

এসময় মো. রাজ্জাক আসামিদের বকাবকি করতে নিষেধ করায় আসামি জামাত আলীর নেতৃত্বে ওপর আসামি মো. মজনু ধারালো হাসুয়া দিয়ে রাজ্জাকের মাথায় কোপ মারে। পরবর্তিতে আরেক আসামি মো. নয়ন হোসেন ধারালো বেকী দিয়ে কোপ মারতে গেলে রাজ্জাক হাত দিয়ে ঠেকালে হাতে লেগে হাড় মাংস ও হাতের রগ কেটে গুরুতর আহত হয়।

এসময় আসামি মো. জামাত আলীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আহত রাজ্জাকের বুকে পিঠে, দুই পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় রাজ্জাকের অপর ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঠেকাতে গেলে মো. আরিফুল ইসলামের হাতে থাকা ধারালো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে জাহাঙ্গীরের মাথায় কোপ দেয়। এসময় আসামি মো. মিরাজুল ইসলাম জাহাঙ্গীরকে লাঠি আঘাত করলে হাতের হাড় ভেঙে যায়।

আরেক আসামী মো লিয়াকত আলী কাঠের বাটাম দিয়ে জাহাঙ্গীরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এসময় মো. শফি ঠেকাতে গেলে আসামি মো. মুছাম শেখ ধারালো চাপাতি দিয়ে শফির মাথায় কোপ মারলে সে রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় আসামি মো. মনচের শেখ লোহার রড দিয়ে শফির মাথায় আঘাত করলে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের হাড় ভেঙে যায়।পরবর্তিতে মো. নাজিম কাঠের বাটাম দিয়ে শফির পায়ে আঘাত করলে পায়ের হাড় ভেঙে যায়।

এসময় রাশিদুল ইসলাম ঠেকাতে গেলে আসামি মো. আকরাম হোসেন হাসুয়া দিয়ে মো. রাশিদুল ইসলামের মাথার কোপ মারলে সে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। অপর আসামি মো. রাকিব হোসেন লোহার রড দিয়ে রাশিদুল এর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতারী আঘাত করে। মো. রাহাত হোসেন ঠেকাতে গেলে আসামি মো. ইমন হোসেন হাসুয়া দিয়ে মাথায় কোপ মারে এতে সে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

এসময় মো. লোহার রড দিয়ে রাহাতকে আঘাত করলে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের হাড় ভেঙে যায়। পরে আসামি রাকিব হোসেন লোহার রড দিয়ে পায়ের আঘাত করলে পায়ের হাড় ভেঙে যায়। এসময় মো. লুৎফর রহমান ঠেকাতে গেলে। আসামী মো. লিয়াকত আলী কাঠের বাটাম দিয়ে লুৎফরের মাথায় আঘাত করে। আসামি মো. মিরাজুল ইসলাম লোহার রড দিয়ে লুৎফরে মাথায় আঘাত করে।

এসময় মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম ঠেকাইতে গেলে তাকেও আসামি মো. মিরাজুল ইসলাম লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে উক্ত আঘাতে হাতের হাড় ফেটে যায়। এসময় আসামিরা পকেটে থাকা নগদ টাকা গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

হামলার ঘটনায় আহতরা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। পরবর্তীতে এই হামলার ঘটনায় আহত আমিরুল ইসলাম বাদী ১৩ জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে কুমারখালী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আকিবুল ইসলাম বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার হয়নি। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় আরেকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর