বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০০ অপরাহ্ন

কুমারখালীতে তীব্র ‘তাপদাহে’ বিপর্যস্ত জনজীবন

বিজয় কুমার সরকার, কুমারখালী / ৯১ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন

তীব্র তাপদাহ ও লাগামহীন গরমে অতিষ্ঠ প্রায় কুমারখালীর মানুষ।আগুন ঝরানো সূর্যতাপ ও বাতাসের আধিক্য না থাকায় চরম অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। গরমের তীব্রতায় মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে পশু-পাখি সহ অন্য জীবজন্তু। ঘরে বাইরে কোথাও যেন নেই এক বিন্দু শীতলতা।  সর্বত্রই শুধু খ খা রোদ গরম। একটু শীতল পানির পরশ পেতে ব্যাকুল মানুষ সহ অন্য প্রাণী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) কুমারখালীতে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১. ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকোর্ড করা হয়েছে। গতকাল এ মাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রী। আগামীকাল ও এ তাপদাহ অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গত কয়েকদিন ধরে কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। ফলে তীব্র তাপদাহ থেকে আপাতত মুক্তি মিলছে না এই উপজেলার মানুষের। আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে গরমের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে এই তথ্য।

এদিকে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুপেয় পানির সংকট। তাপাদাহে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড গরমে কুমারখালীর গড়াই নদীর তীরবর্তী এলাকাবাসী মরিয়া হয়ে উঠেছে একটু পানির আশায়। গরম থেকে একটু রেহাই পেতে শিশুরা মেতেছে জলকেলিতে। আর প্রচণ্ড তাপে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শরীরে আর কাজ করার মত শক্তি পাচ্ছে না বেশিরভাগ দিনমজুর।

ভ্যান চালক ডাইভার সাত্তার শেখ বলেন, জীবনের তাগিদেই কাজের জন্য ঘরের বাইরে বের হই, চারেদিকে প্রচন্ড গরম। নিঃশ্বাস ফেলতেও কষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে গরম থাকলেও শরীর থেকে এক ফুটাও ঘাঁম বের হচ্ছে না।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, আজ কুষ্টিয়া জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১. ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতে দিনের তাপমাত্রা কম-বেশি হলেও এই অঞ্চলে এখনো দেখা নেই বৃষ্টির। আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। গরমের তেজ তীব্র থাকবে আরও কয়েকদিন।

এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার এস এম,এ সাঈদ সাকিব বলেন, তীব্র গরমে শিশুরা পাতলা পায়খানা, বমি , পেটে ব্যথা,নিউমোনিয়া, ডিহাইড্রেশন জনিত মাথা ব্যাথা, এআরআই এবং বড়দের ক্ষেত্রে পেপটিক আলসার ডিজিজ, পেট ফাঁপা রোগীর সংখ্যা বেশি পাচ্ছি। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ছাতা ব্যবহার করা, সরাসরি রোদে সংস্পর্শে না যাওয়া,প্রচুর পানিও তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করা এবং সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাত জানান, ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল কলেজগুলো সাতদিনের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। সেই সাথে তাপমাত্রা স্বাভাবিকে না আসা পর্যন্ত সাবধানতার সাথে চলাফেরার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর