কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা পৌর ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে ভুয়া বিয়ের পোস্ট দিয়ে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় অভিযোগে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান। গত রোববার ফেসবুকে কয়েকটি আইডিতে ভূয়া বিয়ের এই পোস্ট দেখে ওই দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন পলাশ জানান, চলতি মাসের ১০ তারিখে জেলা ছাত্র লীগের সদস্য ও উপজেলা ছাত্র লীগের সহ সভাপতি ফরহাদ হোসেন পাপ্পু এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুজ্জামান পাপন কে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এবং একই মাসের ১৫ তারিখে পৌর ছাত্র লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুদ্বীপ দত্ত, প্রচার সম্পাদক রুদ্র মালাকার ও উপদপ্তর সম্পাদক মেজবাউল হক হৃদয়কে জেলা ছাত্র লীগের পক্ষ থেকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি বলেন ত্রুটি পেলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু দলীয় গ্রুপিংয়ের কারনের সামনে নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ভূয়া বিয়ের প্রচারণায় নেমেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। তিনি যাতে ছাত্র লীগের কমিটিতে থাকতে না পারেন সেকারণে ফেসবুকে বিভিন্ন ফেক আইডি দিয়ে তার বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যা প্রচারণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তার এক বন্ধুর বিয়েতে মাথায় টোপর দিয়ে যে ছবি তুলেছিলেন সেই ছবি এডিট করে এবং ভূয়া কাবিন বানিয়ে তার বিয়ের প্রচারণা করা হয়েছে। এবং যে নিকাহ রেজিস্টারকে দিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি উল্লেখ করা হয়েছে সেই কাজী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। দলীয় গ্রুপিং এর শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি খন্দকার মুবিন হাসান জানান, কুমারখালীতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে পৌর ছাত্রলীগের কমিটি সক্রিয় ও শক্তিশালী। যেকারণে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি চক্র এমন ষড়যন্ত্র করছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক জানান, এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কোন পক্ষ থেকে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কাজীর সাথে কথা বলে জানা গেছে বিয়ের বিষয়টি মিথ্যা।
কুমারখালী থানার ওসি মো. মহসীন হোসাইন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।