বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন

কুমারখালীতে গোপনে স্ত্রীর সাথে দেখা করতে এসে গণধোলাই খেলেন জামাই

কুমারখালী প্রতিনিধি / ২৮১ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৪:২০ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সদ্য বিবাহিত স্বামী মোবাইলে স্ত্রীর ম্যাসেজ পেয়ে দেখা করতে গিয়ে শ্বশুড় বাড়ির লোকদের হাতে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। পরবর্তিতে জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বশুর চুরি চেষ্টার মামলা করেছেন।

রবিবার (২৯ আগস্ট) রাত ১ টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী জামাই একই উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে জাকারিয়া। সে রাজবাড়ী সরকারি কলেজে রসায়ন বিভাগে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র।

ভুক্তভোগী জামাইয়ের চাচা রবিউল ইসলাম জানান, তার ভাতিজার সাথে একই ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের খলিলুর রহমান মাস্টারের মেয়ের প্রেমজ সম্পর্ক ছিলো। যেকারণে দুই বছর আগে মেয়ের বাবা তার ভাতিজাকে মারধর করে। মাঝখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিলো না কিনা সেটা তাদের জানা নেই। হটাৎ জানতে পারেন চলতি মাসের ২৪ তারিখে ছেলে মেয়ে গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে যে যার বাড়িতে অবস্থান করছিলো।

রবিবার রাত ১ টার দিকে মোবাইলে ম্যাসেজ পেয়ে তার ভাতিজা মাস্টারের মেয়ের সাথে দেখা করতে গেলে খলিল মাস্টার, তার চাচাত ভাই লালনসহ ৪/৫ জন মিলে ঘরের মধ্যে আটকে তার ভাতিজাকে হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে। এসময় তার ভাতিজা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে খলিল মাস্টারের ছোট ভাই জয়নাল আবেদীন তাদেরকে ফোন দিয়ে জানায় তাদের মেয়ের ঘরে জাকারিয়া ঢুকেছিলো যেকারণে তাকে পুলিশে দেওয়া হচ্ছে।

রবিউল ইসলাম আরও জানান খলিল মাস্টারের লোকজন তার ভাতিজার মাথায় ও হাঁটুতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে যেকারণে মাথায় ৭টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। স্বামী স্ত্রী হওয়া শর্তেও তার ভাতিজার বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় চুরি চেষ্টার মামলা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, রাত ১ টার দিকে খলিল মাস্টারের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশের জন্য তারা ঐ ছেলেকে ধরে মারপিট করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে ছেলেটির বিরুদ্ধে চুরি চেষ্টার মামলা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর