কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর খোলামেলা প্রচার – প্রচারণা করার অভিযোগে দুই যুবলীগ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলা যু্বলীগের সহ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সদস্য মাহবুবুর রহমান লিটু।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা যু্বলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক মনির হাসান রিন্টুর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। এনিয়ে উপজেলায় এপর্যন্ত ছয়জন যু্বলীগ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
অব্যাহতি প্রাপ্ত যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি কখনোই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণা করিনি বরং আমি নৌকার পক্ষেই কাজ করেছি। তবে গতকাল রাতে নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে যে সহিংসতা হয় সেখানে আমি ও আমার বড় ভাই লিটু উপস্থিত থাকার কারনে এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ শে ডিসেম্বর চতুর্থধাপে অনুষ্ঠিত হবে এউপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে শিলাইদহ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীকে বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর খোলামেলা ভোটের প্রচার প্রচারণা করছেন ওই দুই যুবলীগ নেতা। যা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে। তাই তাঁদেরকে শঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যুবলীগগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে উপজেলায় ছয়জন যু্বলীগের নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হারুন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীক দিয়েছেন, তাই নৌকার বিপক্ষে যারা যাবে তাদের বিরুদ্ধেই দলীয় হাই-কমান্ডের নির্দেশে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাই দলের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করায় আরো দুইজনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’