কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় আগুনে তিনটি পরিবারের ৩ টি ঘরবাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে এবং একটি গরু পুড়ে মারা গেছ। সোমবার (২০ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের উত্তর মিরপুর ফারাজী পাড়া এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট লাইন থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তিনটি পরিবারের নগদ টাকা সহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় লাখ দশেক।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বাদশা ফারাজীর রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে এবং তার বাড়িঘর ও গবাদিপশু পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাই। সেখান থেকে আগুন দ্রুত প্রতিবেশী মিরাজ ফারাজির বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই তিনটি পরিবারের তিনটি টিনের ঘর ও দুইটি গোয়াল ঘর নগদ টাকা,আসবাবপত্র ধানচাল সহ প্রায় লাখ দশেক টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আজ মঙ্গলবার ফারাজী পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ির কাঠ, কয়লা চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ঘর পোড়ার খবরে দূর–দুরন্ত থেকে ছুটে এসেছেন স্বজনেরা। পোড়া ভিটায় স্বজনদের জড়িয়ে কেউ কেউ বিলাপ করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক মো.বাদশা ফারাজী বলেন, বাড়ির সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। কিছুই আর অক্ষত রইলো না, গবাদিপশু, রান্নাঘর, বসতবাড়ি, আসবাপত্র হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। ঘরের কিছুই বের করতে পারেনি। এক নিমিষেই সব পুড়ে ছাঁড়খাড়।
প্রতিবেশী মো. চান্না ফারাজী বলেন, আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। পাশের বাড়িতে আগুন লাগার কারণে ওদের চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমাদের ঘরের টিনেও দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ঘরে জমানো নগদ টাকাসহ আসবাপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিছুই বের করতে পারেনি এখন শুধু গায়ে জামা কাপড় ছাড়া আর কিছুই রইলো না।
চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু বলেন, খবর পেয়ে পোড়া বাড়ি দেখতে গিয়েছিলাম এবং ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ,ও দুই বস্তা চাউল দিয়েছি। তিনি আরও জানান, বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি।