ব্যাক আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনে কুষ্টিয়ায় কর্মরত নারী শ্রমিকদের বেতনের টাকা আত্মসাত ও তাদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে কারখানা ইনচার্জ দিলারা খাতুনের বিরুদ্ধে। এঘটনায় রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী কারখানা শ্রমিকদের পক্ষে ফিরোজা ইয়াসমিন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় দুইজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরতলীর কুমারগাড়া এলাকায় অবস্থিত ব্যাক আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের এস কে ডি সেকশনে কর্মরত ৫৫ জন নারী শ্রমিকদের বেতনের টাকা দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাত করে আসছে কারখানাটির ইনচার্জ। এরই প্রতিবাদ করলে ওই সেকশনে কর্মরত নারী শ্রমিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করতেন কারখানা ইনচার্জ দিলারা। এঘটনায় রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে একই সেকশনের নারী শ্রমিক সাথী খাতুনের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিও দেন দিলারা খাতুন ও একই এলাকার প্রভাবশালী টিপু। এঘটনায় ওইদিন বিকেলে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ওই কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ফিরোজা ইয়াসমিন বাদী হয়ে কারখানা ইনচার্জ দিলারা ও টিপু নামে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী কারখানা শ্রমিকরা জানান,বেতন ১২ হাজার টাকা হলেও নারী শ্রমিকদের স্বাক্ষর করে নিয়ে দেওয়া হতো ১০হাজার টাকা। প্রত্যেকের বেতন থেকে দুই হাজার টাকা কেটে নিতেন কারখানা ইনচার্জ দিলারা। সেই টাকা দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাত করে আসছিল সে। এর প্রতিবাদ করলে কারখানা ইনচার্জ দিলারা আমাদের নানানভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই নানাভাবে হয়রানি ও হামলা করেন তিনি ও তার দুলাভাই টিপু। এখানে কাজ করতে এসে এমন হয়েছে যে দিলারার রাজ্যে আমরা শ্রমিকরা সবাই অসহায়। এর থেকে আমরা মুক্তি চাই। সম্মান নিয়ে ভালোভাবে চাকরি করতে চাই। তাই দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে ইনচার্জ দিলারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচিতেও যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কারখানা ইনচার্জ দিলারা খাতুনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,আমাকে ইনচার্জের পদ থেকে সরিয়ে দিতেই অফিসের কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অভিযোগ গুলো সবই মিথ্যা।
এ ব্যাপারে ব্যাক আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের কুষ্টিয়ার ম্যানেজার বিনয় কুমার কুন্ডর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা রাজি হননি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)দেলোয়ার হোসেন খান বলেন,থানায় অভিযোগ পেয়েছি। ১২হাজার টাকা বেতন শ্রমিকদের। তাদের স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ১০হাজার টাকা দেওয়া হতো।
বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।