ডাক্তার সুরাইয়া পারভীন সুমনা করোনা এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। গত ১০ দিন আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হোন। তবুও তিনি বিপদজনক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মধ্যেও রোগী দেখেছেন তার নিজস্ব চেম্বারে। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার খোকসায়। ডা. সুরাইয়ার এমন কাণ্ডে রীতিমত তোলপাড়া সৃষ্টি হয়েছে।
সুরাইয়া পারভীন সুমনা খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. শামীম মাহমুদের স্ত্রী।
জানা যায়, শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে খোকসা হাসপাতাল গেটের নিজস্ব চেম্বারে রোগী দেখছিলেন করোনা আক্রান্ত ডা. সুমনা। ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় সাংবাদিকরা। কিন্তু তাদের পেশাগত কাজে বাধা প্রদান করা হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনা নিয়েই তিনি খোকসা হাসপাতাল গেটসহ বিভিন্ন প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন। প্রেসক্রাইব করার পাশাপাশি দেন আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজিসহ নানা টেস্ট।
জানা গেছে, হাসপাতাল গেটের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পাশেই ডক্টরস পয়েন্ট নামে একটি চেম্বার খুলেছেন ডা. সুমনা। যেখানে মানা হয় না কোনরকম স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নিয়ম-নীতি। গত ১০ দিন ধরে ডা. সুরাইয়া পারভীন সুমনা করোনা পজেটিভ নিয়ে হোম কোরেনন্টিনে ছিলেন। রিপোর্ট নেগেটিভ না আসলেও তার ডক্টরস পয়েন্ট চেম্বারে রোগী দেখেন। এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যাযন তিনি।
ডা. সুরাইয়া নিজে করোনা আক্রান্তের কথা স্বীকার করে এর কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি।
তবে খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ্ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।