মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন

একই নদীতে ডুবছে প্রেমিক-প্রেমিকা তবুও শেষ হচ্ছেনা ভালোবাসা

কুষ্টিয়ার সময় প্রতিবেদক / ৩৬৪ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

আমি না হয় আমাদের অপরিপূর্ণ ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকব তুমি নিজের খেয়াল নিও পৃথিবীটা গোল আকার আর এই সুন্দর পৃথিবীতে কিছু অসামঞ্জস্যপূর্ণ মানুষের সাথে পরিচয় হয়ে উঠে আমাদের। জীবন চলার পথে অনেকের সাথে পরিচয় হয়ে ওঠে আর সেখান থেকে ভালো মন্দ বোঝার সেই ধৈর্যটা অর্জন করি আমরা।কিছু মানুষের সাথে হঠাৎ করেই পরিচয় হয় আর সেই হঠাৎ পরিচিত মানুষটা এক সময় সুখে-দুখে থাকার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কিন্তু দিন শেষে তার সেই অফুরন্ত সুখ ভরা দুঃখ বিলাসী আত্মনাদ একসময় তার বিবেকের কাছে হয়ে ওঠে অবহেলার দ্বারপ্রান্ত ৷

যেমন বিশ্বস্ত হাত পেলেও বিশ্বস্ত মানুষের অভাবটা কিন্তু রয়ে যায়। এখানে মানুষ আর হাতের মধ্যে পার্থক্য হল কোনো একদিন সে হাত ধরে বলেছিলো কখনও এই হাতটি ছেড়ে তোমার থেকে দূরে চলে যাবো না।

কিন্তু সে তার দেওয়া কথাটি রাখিনি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হাঁত টা ছেড়ে ঠিকই ভালই আছে।
তবে এখানে বিশ্বস্ত হাতের প্রতিক্রিয়া দ্বারা এটাই বুঝাই হাত ধরে রাখার মানুষের বড্ড অভাব কিন্তু বিশ্বস্ত মানুষ দ্বারা সে হাতটি ধরে রাখার অভাব আর অনটন৷যেমন একটা মেয়েকে কখনো তার ক্যারিয়ার সম্বন্ধে ভাবতে হয় না কারন একটা ক্যারিয়ার সাকসেসফুল ছেলের সাথে সেই মেয়েটা সারা জীবনটা কাটাতে হয়।

অপর দিকে প্রেমিক-প্রেমিকা তারা দুজনেই কতো শত স্বপ্ন দেখতে থাকে৷ একটা সম্পর্কে জড়ানোর সময় কিন্তু দু’জনেই বেশিরভাগ সময়ে স্কুল-বা কলেজের শিক্ষার্থী হয়ে থাকে এ দিকে মেয়েটার ভাবতে হচ্ছে না তার ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা ভাবনা। কারণ কোন এক ক্যারিয়ার গড়া ছেলের সাথে তার বাবা মা তাকে বিয়ে দিয়ে দেবে।
কিন্তু ছেলে টার ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো তার প্রেমিকার মন জয় করতে হলে তাকে করতে হয়না টা কি৷

অনেক কিছু সহ্য করে যেতে হয় দিনের পর দিন,আর মেয়েটা কোনো এক সময় বলে বাবা মা আমার জন্য দিনের পর দিন ছেলে দেখছে আমি আর কতদিন এভাবে তোমার অপেক্ষায় থাকবো, তুমি একটা কিছু করো আমার জন্য না হয় নাই করলে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য হলেও ভালো একটা চাকরি ম্যানেজ করো।

এদিকে আবার পরিবার চাইনা একটা অজ্ঞাত পরিবারের ছেলের সাথে মেয়ের সম্পর্কে জড়ানো অবস্থায় বিয়ে দিতে।দিন শেষমেষ অপেক্ষার প্রহর গুনে যাচ্ছে দু’জনেই চাইলেও করতে পারছে না দেখা কারণ পরিবার থেকে বন্ধী আছে মেয়েটা৷

সমাজে কিছু মানুষ থাকে যারা কিনা জাত ভেদাভেদ কেই বেশি প্রাধান্য দেই। এজন্য চাইলে ও হতে পারে না কেও কারোর অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে কখন যে রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে যাচ্ছে তা ভেবে এক সাগর পাড়ি জমানো পাষাণ মন।

পড়াশোনা শেষ করে চাকরি খুঁজতে খুঁজতে প্রেমিকা চলে যায় কোন এক ক্যারিয়ার গড়া ছেলের ঘরে সেখান থেকে যায় ভালবাসার কিছু অপূর্ণতা এতে করে দিন শেষে কিন্তু তার প্রেমিকা টা অন্যের ঘরে কিন্তু ভালোভাবে থেকে যাই আর এভাবে শেষ হয়ে যাই আমাদের সমাজের অনেক অপরিপূর্ণ ভালোবাসার গল্প।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর