বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন

ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা আনাস 

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৪৬ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: বুধবার, ২২ জুন, ২০২২, ৪:০৯ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের মীর মশাররফ হোসেন ছাত্রাবাস ও লালন শাহ ছাত্রাবাসের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনার প্রেক্ষাপটে উভয় ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

একইসঙ্গে মঙ্গলবার (২১ জুন) সন্ধ্যার মীর মশাররফ, লালন শাহ ছাত্রাবাস ও তাপসী রাবেয়া ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। গতকাল কেই ছাত্রাবাস ছেড়েছে শিক্ষার্থীরা।  অনির্দিষ্টকালের জন্য হল তিনটি হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মুনির হোসেন।

 

২১ শে জুন সকালে বৃষ্টির মধ্যে লালন শাহ ছাত্রাবাসের কিছু বখাটে ছাএ কম্পিউটার ৩য় পর্বের প্রথম শিফ্টের এর একটি মেয়েকে উত্যক্ত কক্রা ও বৃষ্টির পানি গায়ে ছুড়ে মারে বলে অভিযোগ উঠেছে ।

তখন ঐ মেয়ের সহপাঠীরা ছাত্রলীগ নেতা আনাস পারভেজ কে বিষয়টা জানাই।ওদেরকে ওদের হলে এবং লালনশাহ ছাত্রাবাসের ছাত্রদের ওদের হলে চলে যেতে বলা হয় কতৃপক্ষ দ্বারা।

এর পরে মীর মোশারফ হোসেন হলের ছাত্ররা পুকুরে গোসল করতে গেলে তাদের উপর লালনশাহ্ ছাত্রাবাসের ছাত্ররা হামলা চালায়।এ ঘটনা চোখে পরা মাএ-ই সেটা ঠেকাতে আনাস পারভেজ ও কুষ্টিয়া পলিটেকনিক শিক্ষক বাবলু স্যার সেখানে যায়।

তখন আনাস পারভেজ এর উপর  হামলা চালায় লালন শাহ ছাত্রাবাসের ছাত্ররা। আনাস পারভেজ কে উদ্ধার করতে মীর মশাররফ হোসেন ছাত্রাবাসের ছাত্ররা এগিয়ে  বলে জানা গেছে ।

 

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে মীর মশাররফ হোসেন ছাত্রাবাসের ছাত্রদের সঙ্গে লালন শাহ ছাত্রাবাসের ছাত্রদের কথা-কাটাকাটি হয়।দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা সংঘর্ষ হয়। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।

তার মধ্যে সদর হসপিটালে ভর্তি আছেন অনেকেই
একজনের মাথায় সাতটা সেলাই লেগেছে।অন্যজনের পেটে ছুরি মারা হয়েছে ও হাতে ছুরি মারা হয়েছে। আর একজনকে পিটে লোহার পাইপ দিয়ে আহত করেন এবং তিন তলা উপর থেকে কয়েকজন ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। এতে অনেক জন ছাত্র আহত হন মীর মশাররফ ছাত্রাবাসের।

আহত ছাত্র রা হলেন- আনাস পারভেজ ২২,উজ্জ্বল দাস ২১,কাউসার মৃধা ২৩,মুরাদ খান ১৯ এছাড়া আরো অনেকে।

মীর মশাররফ হোসেন ছাত্রাবাসের ছাত্র ওয়াসিম আকরাম বলেন, আমি ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের শেষ বর্ষের ছাত্র। মারামারির ঘটনার পেছনে একটি ঘটনা আছে। তা হলো, আমাদের হলের একজন ছাত্রের বান্ধবীসহ প্রায় ৫ জনের গায়ে পানি দেয় লালন হলের কয়েকজন। তারা তাদের পানি দিতে নিষেধ করলে মারার চেষ্টা করে। পরে আমরা আনাস ভাইসহ কয়েকজন সিনিয়রদের সঙ্গে নিয়ে তাদের বোঝানোর জন্য লালন হলে যাই। বিষয়টি নিয়ে এসময় মারামারির ঘটনা ঘটে। আমাদের দুজন আহত হয়েছে।

পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনাস পারভেজ বলেন, মহান আল্লাহ এদের হেদায়েত দান করুক এবং আরো বলেন মেয়েরা তার বাবার কাছে রাজকন্যা আর ভাই এর কাছে অনেক আদরের তাই একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার আগে একবার নিজের বোন ও মা এর কথা ভাবা উচিত।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর