ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফুলপরী খাতুন নামে এক নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীর হলের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাচাই করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ। তাদের আগামী ১ মার্চের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে হল প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আহসানুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দুপুরে হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনায় বসেন হল প্রশাসনের তদন্ত কমিটি, প্রভোস্ট এবং হল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঘটনা যাচাই-বাচাই করে সবার সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীর আবাসিকতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত ছাত্রীরা হলেন- ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া। অন্তরা ছাড়া সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত নবীন ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে বিবস্ত্র করে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পরদিন ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ওই ছাত্রী।
ভুক্তভোগী ফুলপরীর বাড়ি পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার শিবপুরে গ্রামে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।