পদ্মার চরের মেঠো পথ, যেখানে নেই কোন যানবাহন। বর্ষায় নৌকা আর শুকিয়ে গেলে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল। এই যানবাহনে চলাচলে অভ্যস্ত কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া চরবাসী। নির্দিষ্ট রাস্তার অবকাঠামো থাকলেও তা চলাচলের অযোগ্য। যার কারনে ঐ এলাকায় একাধিক মেঠো পথে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে চলাচল করে চরবাসি।
তবে স্থানীয় সাংসদ বলছে, রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী এই দুই ইউনিয়নের প্রবেশদ্বারে মরা পদ্মায় ৫৬০ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মান করতে পারলে, আস্তে আস্তে চরাঞ্চলের রাস্তা গুলো পাকা করার আশ্বাস দেন তিনি।
পদ্মা চরে রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী এই দুই ইউনিয়নে ২০ হাজারের অধিক লোকের বাস। নিত্য প্রয়োজনীও জিনিষ পত্র কেনাবেচা ও বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার তাগিদে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করে পদ্মা চরের মানুষ। একাধিক মোটরসাইকেল চালক প্রতিবেদককে জানান, রাস্তার অবকাঠামো থাকলেও তা চলাচলের অযোগ্য, অন্যকোন যানবাহন চলেনা এই রাস্তায়। তাই বাধ্য হয়ে দু-মুঠো ভাতের আশায় সারাদিন মোটর সাইকেল চালিয়ে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা রোজগার করেন। একদিন বৃষ্টি হলে গাড়ি আর চলেনা, দুই তিন দিন অপেক্ষায় থাকতে হয়। নিদৃষ্ট কোন চলাচলের উপযোগী রাস্তা না থাকায় অনেক সময় জমির আইল দিয়ে মোটর সাইকেল চালাতে হয়, সেটাও ঝুকিপূর্ন। গাড়িরও প্রচুর ডেমারেজ গুনতে হয়।
এদিকে মোটরসাইকেল যাত্রীরাও জানান, চর এলাকায় রাস্তা ভালোনা, অন্য কোন উপায় নাই, চরের বাহন একমাত্র মোটর সাইকেল, প্রয়োজনের তাগিদে চলাচল করতে হয়। নদীতে ব্রিজ হলেই আস্তে আস্তে রাস্তার উন্নয়ন হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
কুষ্টিয়া জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন কবিরাজ বলেন, রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী এই দুই ইউনিয়নে ২০ হাজারের অধিক লোকে বাস। চরবাসীর যাতায়াত সুবিধার জন্য এই এলাকায় প্রায় ১ হাজারের অধিক মোটর সাইকেল ভাড়ায় চলে। অন্যকোন যানবাহন ঔ রাস্তায় চলাচল করতে পারেনা।
৭৫কুষ্টিয়া, ১ (দৌলতপুর) আসনের সাংসদ-আ.কা.ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, চরএলাকায় স্থায়ি রাস্তার অবকাঠামো তৈরী হয়ে গেছে, তবে তা চলাচলের তেমন উপযোগী না। তারপরও রাস্তা গুলো পাকা করা হবে, রামকৃষ্ণপুর ইউপির ভাগজোত বাজারের নিচে মরা পদ্মায় ৫৬০ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মানের শেষ প্রস্তুতি চলছে, ব্রিজ তৈরী হয়ে গেলে চরের মাঝে কাচা রাস্তা গুলো পাকা করার পরিকল্পনা আছে।
তবে চলাচল যোগ্য কোন রাস্তা না থাকায় বালুচরে চলাচলের ভোগান্তি চরবাসীর অনেক দিনের আশা। তবে চরবাসী আশ্বাস নয় বাস্তবায়ন হোক চরবাসীর আকাংক্ষিত স্বাচ্ছন্দে চলাচলের ব্রিজ ও রাস্তা, এমনটায় প্রত্যাশা করেন দু‘ইউনিয়নের চরবাসী।