মো. মোতাহার হোসেন বিশ্বাস কুষ্টিয়ার কুমারখালীর একজন প্রবীণ রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধি। কাঁদা-মাটির সাথে বেড়ে ওঠা এই মানুষটির চেতনজুড়েই রয়েছে মানুষ বন্দনা। তাইতো সাধারণ মানুষ তাকে এবারও চাপড়া ইউনিয়নের সদস্য পদে আবারো তাকে চায়।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোতাহার হোসেনের জীবনের স্বর্ণসময় কেটেছে মানুষের সেবা আর রাজনৈতিক ত্যাগে। রাজনৈতিক কারণে তাকে বারবার নির্যাতিতও হতে হয়েছে। এত সংগ্রাম আর ত্যাগের বিনিময়ে বর্তমানে তিনি চাপড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক। বারবার নির্বাচিত হয়েছেন চাপড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হিসেবে। সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১০ বছর। একই সাথে ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান পদ শূন্য হলে ভারপ্রাপ্ত চোয়ারম্যান হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
কথা হয় স্থানীয় সমাজপতিদের সাথে। মসলেম মাস্টার, মোক্তার হোসেন, কুদ্দুস মাস্টার বলেন মোতাহার হোসেনের রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধি জীবনের গল্প। তাদের সাথে সুর মিলিয়ে গ্রামের আরিফ,সোহেল রানা,মিলন,আনিচুর রহমান,মকসেদ,আশাদুর রহমান (আশা),ঝন্টু,মোজাম্মেল হক,টুকু,মিনাজ,টোটো,বদিরও করলেন মোতাহার বন্দনা।
চাপড়া ইউনিয়নের অবহেলিত এই ওয়ার্ডটিকে আবারো ঢেলে সাজাতে চান তিনি। এই ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজ হয়েছিল তার আমলেই। বহলা ও চাপড়া গ্রামের পাশে গড়াই নদীর বেড়িবাধেঁর কাজটি শেষ তিনি করেছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায়। তার পর আর কোনো কাজ হয়নি।
কয়েক মাস আগে গড়াই নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে এলাকার মানুষের চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তিনি সরকারি দ্প্তরের দিকে তাকিয়ে গ্রামের স্বার্থে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে রাতদিন বালুর বস্তা দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢোকা বন্ধ করেছিলেন।
সোহেল রানা বলেন, মোতাহার হোসেনের কোনো অনিময়ম বা দুর্নীতি আমরা শুনিনি। সমস্ত ভাতা তিনি সঠিক ভাবে সবার মাঝে বিতরণ করেছেন। যা এখন কল্পনাই করা যায় না।
এলাকার গণমানুষের নেতা মোতাহার হোসেন বলেন, আমি আসলে মানুষের জন্য রাজনীতি করি। নিজের জন্য কিছুই করি না। আমৃত্যু নিজেকে সঁপে দিতে চাই মানুষের কল্যাণে। এজন্য মানুষের সকল চাওয়াকে আমি প্রাধান্য দিবো। জনগণ যদি চায় তাহলে আমি আবারো ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচন করবো।