প্রায় ৮ বছর আগে ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নামে ১ নং খতিয়ানের খাস জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয় সরকার। কিন্তু বরাদ্দকৃত জমি প্রভাবশালীদের জবরদখলে থাকায় ভোগদখল নিতে পারিনি জাতীর সূর্য সন্তানেরা। বিষয়টি লিখিত আকারে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে জবরদখল মুক্ত করে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের ফিরিয়ে দিয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এম এ মুহাইমিন আল জিহান।
এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামমীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এটিএম আবুল মনসুর মজনু, সার্ভেয়ার,থানা পুলিশ সহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, প্রায় আট বছর পূর্বে কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের নগরকয়া মৌজায় বীরমুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিনের নামে ২৫ শতাংশ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলীর নামে ১৮ শতাংশ, বীরমুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলামের নামে ২২ শতাংশ এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেনের নামে ২৫ শতাংশ ১ নং খাস খতিয়ানের জমি বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু বরাদ্দকৃত জামালের জমি প্রভাবশালী মতলেব মোল্লা, ইয়াকুবের জমি শ্রী শ্রী তারক চন্দ্র মন্ডল ও মাস্তান মোলা, শরিফুলের জমি মো. বিপুল এবং লোকমানের জমি আকাম উদ্দিন জোরপূর্বক জবরদখল করে রাখে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন বলেন, আমার পাঁচটি ছেলে।মাথা গোজার ঠাঁই নেই। সরকার ২৫ শতাংশ জমি দিছিল থাকার জন্য। কিন্তু প্রভাবশালীর জন্য দখল নিতে পারিনি। আজ এসিল্যান্ড স্যার জমি ফিরে দিল।
বীরমুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন বলেন, সাত বছর পরে বরাদ্দকৃত জমি ফেরত পেয়ে খুব ভাল লাগছে। ঘর বানিয়ে বাস করব।
উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) এম এ মুহাইমিন আল জিহান বলেন, ৮ বছর পূর্বে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নামে ১ নং খাস খতিয়ানের জমি বরাদ্দ দেওয়া হলেও তারা দখল নিতে পারিনি।লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্ব-স্ব নামে জমি ফিরিয়ে দেওয়া হল।