কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের শিতলাইপাড়া চন্ডিপুরের সিরাজুল ইসলামের মেহেগুনি বাগান থেকে সোমবার গৃহকর্মী মঞ্জিরা খাতুনের লাশ উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। নিখোঁজ হয়েছে ওই নারীর ব্যবহৃত মুঠোফোনও। নিহতের বয়স ৩৫ বছর।
জানা গেছে, রিফায়েতপুর ইউনিয়নের শিতলাইপাড়া গ্রামের মিনহাজের স্ত্রী মঞ্জিরা কাজ করতেন দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ, দৌলতপুর উপজেলা আঃলীগ নেতা ও ঠিকাদার ছাদেকুজ্জামান খান সুমনের মাস্টারপাড়ার বাসভবনে। থাকতেনও সেখানে।
বিষয়টিকে ওসি’র কাছে সুইসাইড মনে হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। প্রশ্ন ছাড়াই অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দেন, তার স্বামীকে একটু অসুস্থ মনে হয়েছে।
মেহেগুনি বাগানে ছোট্ট একটা শিশু গাছে শাড়িতে বেঁধে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে মুঞ্জিরার লাশ, এমন তথ্য দেন ওসি জাবীদ হাসান। আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে নানা জনে নানা কথা বলছেন, তা-ই সকালেই ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠিয়ে দিয়েছি।
এদিকে, সোমবার দৌলতপুর থানার ডিউটি অফিসার আবু জাফর বলেন, লাশ রশি দিয়ে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলো, যদিও ওসি বলেছেন ভিন্ন কথা।
বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, ১৫ মে রোববার মঞ্জিরা খাতুন মায়ের বাড়ি থেকে বিকালে কাজে ফিরেন খাওয়াদাওয়া শেষ করে। সুমন খানের যে বাড়িতে কাজ করতেন, সেখানেই তার যাওয়ার কথা। কথা উঠেছে এরপর থেকেই নিখোঁজ মঞ্জিরা।
এ প্রসঙ্গে ছাদেকুজ্জামান খান সুমনের বক্তব্যের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র। তিনি বলেন, কোথায় কাজ করতেন, আমিও অতটা চিনিনা। একটা কাপড় দিয়ে ঝুলন্ত ছিলো। কিন্তু সেটি শাড়ি নয়।
সকাল ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিকাল চারটায় প্রতিবেদককে নিহতের পরিচয়, পেশা, বসবাস কিছুই বলতে পারেননি তিনি। জানিয়েছেন, নিহতের গায়ে শাড়ি পরা ছিলো। কিন্তু, ঘটনাস্থলে নিহত মুঞ্জিরার শরীর শাড়ীতে ঢাকা ছিলো না বলেই সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে।
এঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। আত্মহত্যা বলে পুলিশ দাবি করলেও লাশের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঝুলন্ত লাশ দেখে মনে হয়নি এটা আত্মহত্যা। সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার চাইছেন এলাকাবাসী। আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চক্রান্ত বলেও মন্তব্য অনেকের।