কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এক বিধবা নারী দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার হলেও আইনী সহায়তা নেননি পূনরায় নির্যাতিত হবার ভয়ে। জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর সর্দারপাড়া গ্রামের ওই নারী এমনই ভয়ংকর তথ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আবারও তিনি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন এবং তার বসতঘরের মধ্যে নির্যাতনকারী গোবর নিক্ষেপ করেছে বলে জানান। নির্যাতনকারী জগন্নাথপুর ইউনিয়নের একই এলাকার মৃত হাছেন সর্দারের ছেলে হেলাল সর্দার।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ৪ বছর পূর্বে তার স্বামী মারা গেছে। তিনি দুই ছেলেকে নিয়ে কোনমতো দিনাতিপাত করছেন। স্বামী মারা যাবার পর তার পাশের বাড়ির হেলাল তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। তিনি প্রত্যাখ্যান করলে হেলাল বিভিন্ন ছুতোই গন্ডগোল সৃষ্টি করে ইতিপূর্বে ৪/৫ বার তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ঘরের পিছনে আবর্জনা ফেলাকে কেন্দ্র করে হেলাল তার স্ত্রী আন্না ও দুই মেয়ে এসে তাকে মারপিট, আসবাবপত্র ভাংচুর ও ঘরের মধ্যে গোবর ও আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে যায়। তিনি বলেন হেলালের বাড়ি থেকে বের হবার কোন রাস্তা নেই।
তার জায়গার উপর দিয়ে হেলালের পরিবারের লোকজন যাতায়াত করে। তিনি নিজের জায়গায় আবর্জনা ফেলতে গেলেই অকারণে গন্ডগোল সৃষ্টি করে হেলাল। তিনি এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুখ আহমেদ খান জানান, ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিলে প্রকৃত ঘটনা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।