প্রতিবেশির অত্যাচার থেকে বাঁচতে ইউএনওর শরনাপন্ন হয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। দিয়েছেন ইউএনও বরারর একটি দরখাস্তও। নিরুপায় এ মুক্তিযোদ্ধা কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের প্রাগপুর রঘুনাথপুর গ্রামের রফিজ উদ্দিন। তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশি আখি আলী ও তোফাজ্জেল হোসেনের রোষানলের শিকার।
তবে, অনুসন্ধানেও মিলেছে এর সত্যতা। এলাকাবাসী জানান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটির লোকসংখ্যা কম হওয়াতে প্রতিবেশি পরিবারে লোকজন দীর্ঘদিন যাবৎ নানা ভাবে অত্যাচার করে আসছে।
মুক্তিযোদ্ধা রফিজ উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির পাশ দিয়ে সরকারি খাস জায়গা আছে। যেটি দীর্ঘদিন যাবৎ আমার দখলে। আমি কিছু গাছ লাগিয়ে ছিলাম। গাছগুলো বড় হলে প্রতিবেশি আখি ও তার লোকজন শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকালে জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। আমি বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ও আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা রফিজ উদ্দিনের ছেলে মিলন রেজা বলেন, গাছ কাটার ছবি আনতে গেলে আমাকে আখির পরিবারের লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে যাহা আমি আমার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করি।
এ বিষয়ে আখির পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ক্যামেরায় কোন কথা বলতে চাননি। বলেন, চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল অনুমতি দিয়েছে তাই গাছ কেটেছি। আমরা কেন বক্তব্য দিব।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল মুঠোফোনে জানান, মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির পাশের জায়গাটি ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা। সেখানে কোন গাছ কাটার অনুমতি আমি কাউকে দিইনি। এ ব্যপারে আমার কাছে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ জানান, একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।