কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত নাবিল (১৪) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এর আগে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিল বাঁধন (১৪)। এ দুর্ঘটনায় তাদের আরেক বন্ধু সামিউল আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মহিষকুন্ডি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাঁধন উপজেলার মহিষকুন্ডি কলেজ পাড়া গ্রামের সিলন হোসেনের ছেলে। আহত সামিউল কামরুল ইসলাম সোহেলের ছেলে এবং নাবিল নেয়ামুল ইসলামের ছেলে। তারা তিনজনই মহিষকুন্ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁধন তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে মহিষকুন্ডি কলেজ পাড়া থেকে ময়রামপুরগামী রাস্তায় যাচ্ছিল। পথে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেলে ঘটনাস্থলেই বাঁধন মারা যায়। স্থানীয়রা আহত সামিউল ও নাবিলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে নাবিলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়, সেখানে আজ (বুধবার) ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, “তিন বন্ধু একই মোটরসাইকেলে ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই বাঁধন মারা যায়। আহত দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নাবিল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।” এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।