ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার। সেই স্বপ্নই বাস্তবে রূপ নিয়েছে কুষ্টিয়ার খোকসার হুমায়রা জেরিন মুসারাত পৃথিবী খানের। চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে পৃথিবী খান।
এক ঘণ্টা সময়ের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় পৃথ্বী পেয়েছে ৭৬, তার মেরিট স্কোর ১৭৮।
পৃথিবী খান খোকসার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। বাবা মুজিব খান বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং মা আফরোজা ফেরদৌস আঁখি গৃহিনী। পৃথিবীর দাদা খোকসার রাধানগর গ্রামের মৃত আব্দুল করিম খান ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক।
পৃথিবী ২০২২ সালে আগারগাঁও শের-এ বাংলা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এর পরে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ বরাবরের মতোই পিলখানার বীরশ্রেষ্ট নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হয় পৃথ্বী।
মেধাবী পৃথিবী খান বলেন, মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় প্রথমেই মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল মানবিক ডাক্তার হওয়ার। আর সেই লক্ষ্যে আমি লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছি। সরকারি মেডিকেলে চান্স পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যাতে একজন আদর্শবান ডাক্তার হয়ে নিজ গ্রামসহ খোকসা উপজেলার দরিদ্র-অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি।
এই সাফল্য ও ভালো ফলাফলের পেছনের কারিগর মা-বাবাসহ শিক্ষকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পৃথিবী।
পৃথিবীর বাবা মুজিব খান বলেন, ছোটবেলা থেকেই পৃথ্বী লেখাপড়ায় ছিল অদম্য মেধাবী। অবশেষে আমাদের পরিবারের সবার প্রচেষ্টা, শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ও সর্বোপরি তার নিজ প্রচেষ্টায় সে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। এটা আমার ও আমার পরিবারের সর্বোচ্চ অর্জন।