কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবীতে অমানুষিক নির্যাতনের অীভযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্ত্রী ও সন্তান। উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজা (রনি) মোল্লা ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে আজ (১৭ এপ্রিল) বুধরাব এ অভিযোগ করেন স্ত্রী পাপিয়া খাতুন ও সন্তান নুসরাত জাহান।
সংবাদ সম্মেলনে, পাপিয়া খাতুন বলেন বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী সেলিম রেজা রনি মোল্লা ও তার পরিবারের লোকজন আমার উপর যৌতুকের দাবীতে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। আমি নির্যাতন সইতে না পেরে ও আমার সংসারের সুখ শান্তির কথা ভেবে কয়েক দফায় আমার ব্যবহৃত প্রায় দশ লক্ষ টাকা মূল্যের ৮ ভরি স্বর্নের গহনা বিক্রয় করে দেই। এছাড়াও আমার নিজ নামীয় ৪৮ শতক জমি বিয়ের ২০ বছর ধরে আবাদ করে খাচ্ছে।
গত ২ বছর আগে আমার বিনা অনুমতিতে আমার স্বামী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার মুন্নির সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী সেলিম রেজা রনি মোল্লা তার পরিবারের লোকজন ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাহিনা আক্তার মুন্নির যোগসাজসে আমার ও আমার মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে ও আমার নিজ নামীয় ৪৮ শতক জমি বিক্রয় করতে বলেন। আমি আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে অস্বীকৃতি জানালে গত ৭ এপ্রিল সেলিম রেজা রনি মোল্লা, শ্বশুর হাসান মোল্লা, দেবর বিভিন্ন মামলার আসামী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রিগান মোল্লা ও শাহিনা আক্তার মুন্নি মাষ্টার সহ আমাকে ও আমার মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে প্রানে মেরে ফেলতে চায়।
আমরা মা ও মেয়ে পিছনের জানালা দিয়ে পালিয়ে কোনরকম প্রাণ রক্ষা করি। পরে দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা করেছি যার নং-১৯/২৪। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে বলে জানাযায়।
আমরা জানি বাংলাদেশের মিডিয়া নারী ও শিশু বান্ধব। অথচ দিনের পর দিন সেলিম রেজা রনি মোল্লা যৌতুকের দাবী নিয়ে আমাকে ও আমার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
এছাড়াও আপনাদের মাধ্যমে আরও জানাতে চাই একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হয়ে কি করে আমার মত একজন অসহায় মা ও মেয়েকে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে উপজেলা, জেলা, শিক্ষা অফিসার ও থানা পুলিশের কাছে ঐ শিশু নির্যাতন কারী পরিবার ও শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার মুন্নির শাস্তির জোর দাবী জানাচ্ছি।