বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন

দৌলতপুরে নার্সিং হোমে সন্ত্রাসীদের গুলি

কুষ্টিয়ার সময় প্রতিবেদক / ৭৬৪ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:০৮ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গুলি চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। রোববার সন্ধ্যায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল গুলি চালিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে ওই এলাকায়।

জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইউরোপ প্রবাসী গোলাম সরোয়ারের মহিষকুন্ডি বাজার এলাকার একটি একতলা ভবন ভাড়া দেয়া আছে ‘আনেছা নার্সিং হোম’ নামের বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে। সেই ভবনেই এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে জামালপুর এলাকার জাকির আলীর ছেলে চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী জনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নার্সিং হোমের কর্মী অমিতা খাতুন অমি বলেন, আমি দাঁড়িয়েছিলাম। পাশে চেয়ারে ম্যানেজার সাহেব বসে ছিলেন, আগে আমাদের ক্লিনিকে স্ত্রীর সন্তান প্রসব করাতে এসেছিলেন যেই জনি, সে একটি মোটরসাইকেলে মহিষকুন্ডি বাজারের দিক থেকে অপর একজন সহ ক্লিনিকের সামনে এসে মোটরসাইকেল পার্কিং করে। এসময় জনি লুঙ্গি পরা ছিলো, কোমর থেকে ছোট আকৃতির একটি কালো রঙের পিস্তল বের করে হাতে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ম্যানেজারের চুল চেপে ধরে আরিফ নামের এক স্থানীয় গরুর খামারিকে খুঁজতে থাকে। এসময় ম্যানেজার কবির উদ্দীনের মাথায় পিস্তল ঠেকানো ছিলো। বের হওয়ার পর বাইরে থেকে ভিতরের দিকে বেশ কয়েকটি গুলি চালায় ওই পিস্তল দিয়ে। আমরা এসময় পালিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিই। গুলি করা শেষে তারা মোটরসাইকেলে ডাক পাড়ার দিকে চলে যায়।

আওয়ামীলীগ সরকারের মামলা-হামলা নির্যাতনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচা প্রবাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা গোলাম সরোয়ার জানান, ঘটনাস্থলে পিস্তল নিয়ে এসেছিলো জনি ও রুবেল। তারা দু’জনেই প্রাগপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কামালের পোষা সন্ত্রাসী। আমি প্রবাসে বসে যতদূর তথ্য পেয়েছি, কামালের নেতৃত্বে জনি-রুবেল এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।

স্থানীয় মজিবর হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পলায়নের পর কামালের নেতৃত্বে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সশস্ত্র চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। গোলাম সরোয়ার ও তাঁর পরিবার পরিজন বিএনপির রাজনীতি করে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তারা এসকল চাঁদাবাজি ও অস্ত্রের শোডাউনের বিরুদ্ধে কথা বলাতেই মূলত সন্ত্রাসীদের ক্ষোভ।

অভিযুক্ত রেজোয়ানুল হক কামাল সম্প্রতি দৌলতপুরে ঘটে যাওয়া ব্যাপক আলোচিত ঘটনা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের দায়িত্বরত সদস্যদের ওপর হামলা ও রক্তপাতের ঘটনার অন্যতম আসামি।

এ বিষয়ে কথা বলতে জনি ও রুবেলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর যুবদলের আহ্বায়ক কামাল তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, আমার লোক যায়নি, এসব কিছু হয়নি।

দৌলতপুর থানার ওসি শেখ আউয়াল জানান, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে পুলিশ একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ঘটনার পরপরই পুলিশ বিজিবি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়, বুলেটের খোসা পায় তারা।

প্রসঙ্গত, আধঘন্টার ব্যবধানে প্রাগপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, যুবদল নেতা আরিফুল ইসলামের বসত বাড়িতেও গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর