গেলো মঙ্গলবার ২ মে সকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কল্যানপুর এলাকায় খুন হয় শাহাপুর গ্রামের জাকির মোল্লা। খুন হওয়া ওই ব্যক্তির নামে এর আগে দৌলতপুর থানায় চুরি, মাদক, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৩ টি মামলা রয়েছে। জাকির মোল্লা হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ২ মে ১৬ জনের পরিচয় প্রকাশ ও অন্তত ৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়। এতে এজাহারভূক্ত এক নারী আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। জাকির মোল্লা হত্যাকাণ্ডের রহস্য হিসাবে শুরুতেই সামনে আসে খুন হওয়ার আগের দিন নিজের সাক্ষরেই দায়ের করা খুনের আশঙ্কা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পত্র, সেখানে ১২ জনের নাম-পরিচয় ও অন্তত অজ্ঞাত ২০ ব্যক্তির নামে ক্ষয়ক্ষতি এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগ জানান জাকির।
হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার সুত্রের অভিযোগে বলা হয়েছে, জাকির কে পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দলবদ্ধ হয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গুঞ্জন উঠেছে জাকিরের মৃত্যুর আগে দায়ের করা অভিযোগে আসামিদের মধ্যে থাকা বিল্লাল হোসেন হলেন– সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন হোগলবাড়িয়ার সাবেক চেয়ারম্যান, স্থানীয় বিএনপি নেতা বিল্লাল হোসেন।
জাকিরের মৃত্যু পরবর্তী মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে আসামি রয়েছেন স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা মাহী বিশ্বাস ও তার সহোদর শৈয়ব বিশ্বাস।
এখানকার, স্থানীয়দের কাছে জাকির মোল্লা হত্যাকাণ্ডের গল্প ঘুরেফিরে মনে করিয়ে দিচ্ছে একই এলাকায় তাছেরের দরবার নামে পরিচিত স্থানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রাশেদ ও স্থানীয় যুব জোট নেতা সালামের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে।
অন্যদিকে, দৌলতপুরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জমিজমার কোন্দলে রাজনীতিকীকরণ, দু’পক্ষের মারামারি, তিন জনের মৃত্যু ও বীভৎস আহতদের খবরের সাথে এঘটনায় দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পরিবার থেকে দুই সহোদর ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের আসামি হওয়া প্রসঙ্গে আগে থেকেই হতভম্ব এলাকার বাতাস। এরইমধ্যে চরাঞ্চলে উদ্ধার হয়েছে বস্তাবন্দি যুবকের লাশ, প্রতিপক্ষের আক্রমণে নিহত হয়েছে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিও।
দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, দৌলতপুর পুলিশ প্রতিটি ঘটনা গুরুত্বের সাথে দেখছে, আসামি আটকসহ তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত গতিতে আইনানুগ ভাবে চলছে।
জাকির মোল্লা হত্যার আগে করা অভিযোগ পত্রের এক নম্বর অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেনই, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কি-না তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।