বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও- হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বন্ধু বন্দনার জলন্ত উপমা যেন চট্টগ্রাম ৯৯ ব্যাচ! বিশ্বায়নের এই যুগে সুযোগ হয়েছে সারা দেশের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বন্ধুদের এক প্ল্যাটফর্মে আনতে পেরেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বলছিলাম, সাংস্কৃতিক নগরী কুষ্টিয়ার একটি ছোট্ট উপজেলা খোকসার কথা। খোকসাকে নিয়ে মেধাবী নির্মাতা মনিরুজ্জামান শাহীনের বানানো ‘আমার খোকসা’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র এবার প্রদর্শন হলো বন্দর নগরী চট্টগ্রামে।
মনিরুজ্জামান শাহীন এসএসসি ১৯৯৯ সালের ব্যাচের হওয়ায় চট্টগ্রাম ৯৯ ব্যাচের বন্ধুর ভিন্নধর্মী এই চলচ্চিত্র দেখার ইচ্ছে পোষণ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই দুবাই মার্ট এর কর্ণধার চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করেন ‘আমার খোকসা’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী।
পুরো চলচ্চিত্রটি দেখার সময় যেন রাজ্যের সব নিরবতা নেমে আসে মানুষের কলকাকলিতে মুখর বন্দর নগরী চট্টগ্রামে! খুব মনোযোগের সঙ্গেই এই শো টি উপভোগ করেন চট্টগ্রাম ৯৯ ব্যাচের বন্ধুমহল।
শো শেষে কয়েকজন বন্ধু খোকসায় আসার ইচ্ছা পোষণ করেন। একজন তো বলেই ফেললো তার জামাইকে পটিয়ে হলেও খোকসা আসবেন। এটাই হয়তো মাটির শক্তি!
‘আমার খোকসা’ এর পরিচালক মনিরুজ্জামান শেখ শাহীন বলেন, এই শো শুধুমাত্র ৯৯ ব্যাচের বন্ধুমহলকে দেখানোর উদ্দেশ্যই আয়োজন করা হয়। আমি ভেবেছিলাম, এই চলচ্চিত্রটি খোকসা নিয়ে করা। কিন্তু এখানকার কেউ খোকসাকে চিনে না, কখনো খোকসাতে যায়ওনি। তারা কি দেখবে এই চলচ্চিত্র! আমার বেশ ভয়ও হচ্ছিল প্রায় ৫৫ মিনিটে তাদেরকে আটকে রাখা সম্ভব হবে কিনা? কিন্তু শুরুর ৫ মিনিট পরই দেখলাম সবাই চলচ্চিত্রটিতে নিজেকে যুক্ত করেছে। পিনপতন নিরবতায় উপভোগ করছে ‘আমার খোকসা’।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময় চেষ্টা করি খোকসার সন্তান হিসেবে খোকসাকে সবার মাঝে মেলে ধরতে। এবারের আয়োজনও আমার সেই বহিঃপ্রকাশ। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই চট্টগ্রামের সব বন্ধুদের যারা আয়োজন করেছে এবং যারা দর্শক হিসাবে এসেছে। কৃতজ্ঞতা থাকবে আমার খোকসা টিমের প্রতিটি সদস্যর প্রতি যাদের আন্তরিকতা ও শ্রম না থাকলে আমরা খোকসার জন্ম হতো না।